সরকারের দুই দফায় নির্বাহী আদেশে মুক্তি পেয়ে প্রায় ১০ মাস ধরে গুলশান এভিনিউয়ে ভাড়া বাড়ি ‘ফিরোজা’য় নিঃসঙ্গ দিন কাটছে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার। এ সময়ে এক দিনের জন্যও তিনি ফিরোজা থেকে বাইরে বের হননি।
বিএনপি নেতারা বলছেন, তারা ন্যায়বিচারের আশা ছেড়ে দিয়েছেন। একমাত্র জনগণের রায়ের মাধ্যমেই বিএনপি নেত্রীর মুক্তি হতে পারে বলে মনে করছেন তারা।
বিএনপির তিনবারের প্রধানমন্ত্রীর বেগম খালেদা জিয়া। সবসময় নেতা-কর্মী আর রাজনৈতিক কর্মসূচী ঘিরে থাকত যার চারপাশ । সেখানে ৩ বছর ধরেই পুরোপুরি নিঃসঙ্গ দিনপার করছেন তিনি। নেতা-কর্মীদের সাথে নেই কোন যোগাযোগ।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ জানান, নেতা কর্মীদের সঙ্গে কোন যোগাযোগ নেই বিএনপি চেয়ারপার্সনের। সরকারের দেয়া বিধি নিষেধ মেনেই দিন কাটাচ্ছেন খালেদা জিয়া।
আথ্রাইটিস, ডায়াবেটিক, উচ্চ রক্তচাপ কিছুই নিয়ন্ত্রণে নেই আর। হাঁটা চলাতেও নির্ভর করতে হয় অন্যের উপর। তাই খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার সুযোগ অবারিত করে দেয়ার জন্য জোর আহ্বান জানাচ্ছে বিএনপির নেতারা।
খালেদা জিয়ার বয়স এবং শারীরিক অবস্থা দেখেও সরকার কোন সহানুভুতি দেখাচ্ছেনা অভিযোগ এনে বিএনপি নেতারা বলছেন, এবার জনরায়ের মাধ্যমেই মুক্ত করা হবে খালেদা জিয়াকে।
মেজর হাফিজ আরও জানান, সরকার বেগম খালেদা জিয়াকে নিঃশর্ত মুক্তি না দিলে জনগণ জনরায়ের মাধ্যমে তাকে মুক্ত করে আনবেন।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের সাজায় কারাজীবন শুরু করেন খালেদা জিয়া। ২৫ মাসেরও বেশি সময় কারাবন্দী থাকার পর করোনাকালে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ‘মানবিক বিবেচনায়’ সরকারের নির্বাহী আদেশে শর্তসাপেক্ষে জামিনে মুক্তি নিয়ে গুলশানের বাসা ‘ফিরোজায়’ রয়েছেন।